চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

খুব সহজে ওজন কমানো সহ ত্বক ভালো রাখতে রয়েছে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা


চিয়া সিড বা চিয়া বিজ একটি প্রাকিতিক শস্যদানা যা মধ্য আমেরিকার অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। বর্তমানে এই চিয়া সিড সারা প্রিথিবিতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই চিয়া সিড নিঃসন্দেহে মানব দেহের জন্য বেশ উপকার আর এটি বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রমানিত। চিয়া সিড এই বিজে প্রচুর পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকায় বিশেষজ্ঞদের মতে এই চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। এবং এই ছোট বীজটিতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। এই নিবন্ধে আপনি জানতে পারবেন চিয়া সিডের পুষ্টিকর উপাদান, চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম।



চিয়া সিড কি?


চিয়া সিড বা চিয়া বিজ হল একটি প্রাকিতিক শস্যদানা , এটি সাল্ভিয়া হিম্পানিকা উদ্ভিদের অন্তর্ভুক্ত এবং পুদিনা প্রজাতির। এটি আকারে খুবই ছট তবে এর পুষ্টিগুণ মারাত্তক। এই বিজের আদি জন্মস্থান হল সেন্ট্রাল আমেরিকার মরুভুমিতে। চিয়া সিড সেখানকার প্রাচিন আদিবাসীদের প্রধান খাদ্য ছিল। আর তাদের মাধ্যমেই চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সারা প্রিথিবিতে ছড়িয়েছে। সাধারণত প্রাচিন আদিবাসীরা অনেক শক্তিশালী এবং সুস্বাস্থ্যর অধিকারী হয়ে থাকে তার কারন হল তারা সবসময় সুষম খাবার খায়। সুষম খাবার বলতে প্রাকিতিক ভাবে জন্মানো উদ্ভিদ চিয়া সিড প্রাকিতিক উদ্ভিদের অন্তর্ভুক্ত।



আর এই জন্যই প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত সব ধরনের চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রাকিতিক বিভিন্ন উদ্ভিদ ব্যাবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে সরাসরি প্রাকিতিক উদ্ভিদ থেকে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি হচ্ছে যা ব্যাপক জনপ্রিতা লাভ করেছে। আমরা ফার্মেসিতে যে আয়ুর্বেদিক ঔষধ দেখতে পাই এগুলো সরাসরি প্রাকিতিক উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি।



চিয়া সিডের পুষ্টিকর উপাদান


চিয়া সিডে অনেকগুলো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্যাটি এসিড, আলফা লিনলেনিক, লিনলেনিক এসিড, সালফার, আয়রন, আয়োডিন, নিয়াসিন, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।



চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা


চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান আমি প্রধান কিছু পুষ্টিকর উপাদান তুলি ধরছি যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারি। পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা স্মৃতির মতে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হল।

১। চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম যা হার মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।


২। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


৩। চিয়া সিডে রয়েছে বাদামের চেয়ে বেশি ওমেগা -3 যা মানবদেহে প্রচুর শক্তি সরবরাহ করে।


৪। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা ফ্যাট কমিয়ে শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।


৫। চিয়া সিডে এমন অনেক পুষ্টি রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারন এটি শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে।


৬। চিয়া সিডে রয়েছে পালংশাকের ৩ গুন আয়রন যা শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়।



৭। চিয়া সিডে রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুন ভিটামিন সি যা মানবদেহের পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি যোগান দ্যায়।


৮। চিয়া সিডে রয়েছে কলার চেয়ে ৮ গুন বেশি পটাশিয়াম এবং দিমের চেয়ে ৩ গুন প্রোটিন যা মানবদেহ সবসময় সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখে।


৯। চিয়া সিডে প্রয়জনিয় ফ্যাটি এসিড থাকায় শরীরের বিষাক্ত টক্সিন বের করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে।


১০। চিকিৎসকেরা বিশ্বাস করে যে ত্বক, চুল, নখ, ও ভালো ঘুম হতেও চিয়া সিডের খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।



চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা


চিয়া সিডে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতাও রয়েছে। কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালনা চিয়া সিডের খেত্রেও তাই। কিছু বিজ্ঞানি তার পরীক্ষায় বলেছে এই চিয়া সিডের অতিরিক্ত বাবহারের ফলে স্তন ক্যান্সার বারিয়ে তুলতে পারে।

আবার এটির মদ্ধে ফাইবারের পরিমান বেশি থাকায় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই চিয়া সিড সীমিত খাওয়া উত্তম।



চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম


চিয়া সিড একটি মাল্টি ভিটামিন পুষ্টি সমৃদ্ধ যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। খাওয়ার আগে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম যানা খুবই দরকারি। কারন চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মে রয়েছে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা। তো চলুন যেনে নেই কিভাবে চিয়া সিড খাবেন। এখানে আমি কিছু সহজ পদ্ধতিতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম বলেছি।



জুসের সাথে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম। যেকোনো জুশ বানানোর আগে চিয়া সিড আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন তারপর জুসের সাথে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন এক গ্লাস জুসের সাথে অবশ্যই ১ টেবিল চা চামচ চিয়া সিড মেশানো উত্তম।


সারাদিন যেকোনো সময় চায়ের সাথে পরিমান মত চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। আবার এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চা চামচ চিয়া সিড আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পরে একটু লেবুর রস দিয়ে বাশি পেটে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।


এছাড়া বারির যেকোনো রান্না করা খাবারের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া যায়। এবং রাতের ছুপের সাথেও চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া যায়।





Post a Comment

0 Comments